শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: দিরাইয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের দুইপক্ষের বন্দুকযুদ্ধে তিন জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া নিহত তিনজনের লাশ গতকাল (বুধবার) বিকেলে নামাজে জানাযা শেষে পারবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত দিরাই থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানা যায়
এলাকাবাসি ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ঘোরামারা সাতপাকিয়া প্রকাশিত জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতা একরার বাহিনীর লোকজন ও ইজারাদার পক্ষের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মাসুক মিয়া এবং এয়াহিয়া চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে একজন ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুইজন মারা যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েক জন।
সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই হাতিয়া গ্রামের মৃত চান উল্লাহর ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৫) মারা যায়। তিনি মা, স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে। এছাড়া আকিলনগর গ্রামের ইসহাক মিয়ার ছেলে শাহরুল ইসলামের (২৮) মৃত্যুকালে মা-বাবা, স্ত্রী ও ১ মেয়ে রয়েছে। তাছাড়া মৃত আমান উল্লাহর ছেলে উজ্জ্বল (২৫) আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়। নিহত উজ্জ্বলের মা, স্ত্রী, ১ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হাতিয়া গ্রামের মিরাস মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৪), সুনাফর (২৭) এবং উত্তর সুরিয়ারপার গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মালেক মিয়াকে সিলেট ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকীদেরকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। সর্বশেষ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মুহূর্তেই শেষ পত্রিকা
দিরাইয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের দুইপক্ষের বন্দুকযুদ্ধে তিন জন নিহত হওয়ার ঘটনাটি প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর দুপুরে পত্রিকা আসার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায় জাতীয় ও আঞ্চলিক সকল পত্রিকা। অনেত নিয়মিত পাঠক এসে না পেয়ে মনোক্ষুন্ন হয়েছেন। ঘটনাটি ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’ পরিণত হওয়ার ফলেই পত্রিকার এ কাটতি হয়েছে বলে জানান পত্রিকার এজেন্টরা। গতকাল (বুধবার) জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকাসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার প্রথম শেষ পৃষ্ঠায় স্থান পায় বিল দখল নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দুইপক্ষের বন্দুক যুদ্ধের খবরটি। অনেক অপেক্ষমাণ পাঠক আগে থেকেই পত্রিকা সংগ্রহের জন্য বসে থাকেন। তাছাড়া এলাকার অনেক নেতার নাম সংঘর্ষের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা পত্রিকায় আসার কারণেই পত্রিকা শেষ হয়ে যায়।